সাধারণত শীতকালে সবরকমের খাবার খাওয়া যায়। সহজে হমজ হয় বলেই প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেললেও সমস্যা তুলনামূলক কম হয়। তবে মরসুমি ফল, শাক-সবজি, মুখোরচক খাবার খেলেও কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

সাধারণত এই ৭টি খাবার শীতকালে না খাওয়াই ভাল। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা খাবার শীতে এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়। ঠাণ্ডা খাবার খেলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কমে যায়। এই খাবারগুলি হজম করা কঠিন এবং শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ বাড়ায়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন। শীতকালে দুধ, শেক এবং স্মুদির মতো ঠান্ডা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া সীমিত করার চেষ্টা করুন। ঠাণ্ডা লাগার সময় দুধ বা পনীর মিউকাসের ক্ষতি করে, ইনফেকশন বাড়িয়ে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে শীতের মৌসুমে মাংসের মতো ভারী খাবার খাওয়ার পরিমাণে কম খান। শীতে মানুষ অলস হয়ে পড়ে তাই হজমের সমস্যা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে এই খাবার।

খেতে ভাল লাগলেও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, গরম কচুরি বা অন্যান্য ভাজা খাবার এড়িয়ে যান। এই খাবারগুলি হজম করা কঠিন। ফলে হজমের সমস্যা থাকলে গলা জ্বালাও করে এবং শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ বাড়ায়।
শীতকালে লাঞ্চের পরে স্যালাড এবং কাঁচা খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। খেতে হলে মুলো, শশা ও অন্যান্য মরসুমি সবজি দিয়ে স্যালাড খান।

চিনিযুক্ত সোডা এবং প্যাকেটের ফলের রস অনাক্রম্যতা কমিয়ে দেয়। উচ্চ মাত্রার চিনির কারণে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় এবং এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

বাঙালি হলে শীতে মিষ্টি এড়িয়ে চলা মুশকিল। কিন্তু শীতের তাপমাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে মিষ্টি।