স্প্যাম মেইল পেতে পেতে বিরক্ত? আপনার খোঁজ খবর জানিনা। কিন্তু আমি বেশ বিরক্ত। আজ স্প্যাম মেইল ঠেকাতে কিছু টিপস শেয়ার করব আপনাদের সাথে যেগুলো মানতে শুরু করেছি আমি।

কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগে ই-মেইল সাবক্রিপশন করবেন? একটু ভাবুন!
আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে ইমেইল সাবক্রিপশন করি। হ্যাঁ আমি করতে মানা করছিনা কিন্তু একটু ভেবে তারপর করুন। আপনি যে ওয়েবসাইটে ইমেইল সাবক্রিপশন করছেন সেই ওয়েব সাইট কতটুকু জনপ্রিয় বা বিশ্বস্ত সেটা নিয়ে একটু ভাবুন। কারণ আপনি যে ইমেইল এড্রেস দিয়ে সাবক্রাইব করছেন সেরকম হাজারো ইমেইল সাবক্রাইবারের ইমেইল এড্রেস সেই সাইট কারো কাছে বেচে দিবে কিনা সেটা জানা অসম্ভব হলেও তবুও কিছুটা ধারণা নিয়ে নিন। যেমনঃ গুগলকে আমরা বিশ্বস্তই ভাবি। এর কারণে গুগল মামাকে আমরা কোন তথ্য দিতে দ্বিধা করিনা। কারণ আমাদের বিশ্বাস সে কখনও এসব তথ্য যেকারো কাছে বেঁচে দিবেনা। আর যদি দেয় তা হয়ত ব্যতিক্রম। কিন্তু নামে বেনামে অনেক সাইট আপনার ইমেইল এড্রেস সংগ্রহের জন্য ওঁত পেতে বসে আছে। তাই যেকোথাও না ভেবেই ইমেইল সাবক্রিপশন করার আগে সেই সাইট সম্পর্কে সামান্য ভাবুন।
সোশ্যাল ওয়েবসাইটগুলোতে ই-মেইল প্রাইভেসি গোপন রেখেছেন তো?
ফেসবুক, টুইটার কিংবা যেকোন সোশ্যাল সাইটে আপনার ইমেইল এড্রেস প্রাইভেসি Public অর্থাৎ সকলে সেটা দেখতে পারে এমন রাখা উচিৎ নয়। কারণ স্প্যামাররা সোশ্যাল সাইটে ঘুরে ঘুরে ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করে বেড়ায়। তাই একটু সাবধান।
অনলাইনে ই-মেইল এড্রেস শেয়ার করতে আপনি কি স্মার্ট? সবসময় স্মার্টনেসের পরিচয় দিন
ঠিক বুঝতে পারলেন না তো? হুম। আপনি যদি বিভিন্ন ফোরাম সাইটে সংযুক্ত থেকে থাকেন তাহলে বুঝবেন ব্যাপারটা। কমেন্টে কখনও কখনও কাউকে আপনি ইমেইল এড্রেস দিয়ে থাকেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মত এখানেও রয়েছে স্প্যামারদের অসৎ পদচারনা। এরকম জায়গায় তাঁরা মানুষের দেয়া ইমেইলগুলো কপি পেস্ট করে সংগ্রহ করে থাকে। এতে কিভাবে স্মার্ট হবেন বুঝতে পারছেন না? আমি বলতে চাচ্ছি যথাসম্ভব এসব পাব্লিক জায়গায় ইমেইল শেয়ার করবেন না। আর যদিও করেন সেখানে একটু বুদ্ধিমত্তার সাথে ইমেইল এড্রেস দিবেন। যেমনঃ contact[at]bloggermaruf[dot]com । এই ইমেইল এড্রেসে আপনি ঠিকই আমার ইমেইল এড্রেস বুঝতে পারছেন কিন্তু স্প্যামাররা বুঝা সত্ত্বেও এটা নিতে অনীহা করবে। কারণ তাঁরা ইমেইল এড্রেস গুলো কপি এবং পেস্ট করে সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু এই ভাবে লেখা ইমেইল কপি করলেই শুধু হবেনা সেটাকে আবার এডিট করে তাঁর তালিকায় দিতে হবে। এই বিরক্তির কথা ভেবে এটা তাঁরা নাও নিতে পারে।
স্প্যাম মেইলের ফাঁদে ভুলেও হাত-পা কিছুই দিবেন না !
আপনার মেইলে আসা স্প্যাম অর্থাৎ আপনার অপ্রয়োজনীয় মেইলগুলোতে কখনই ভুলেও উত্তর দিবেন না। বেশিরভাগ স্প্যাম মেইলে আকর্ষণীয় কথার মাধ্যমে আপনার নানা তথ্য চাওয়া হয়ে থাকে অথবা হ্যাকিং এর জন্য কোন লিংক কে ক্লিক করতে বলা হয়ে থাকে। আর এসবের সাড়া দিলেই আপনি কেল্লা ফতে। অর্থাৎ চোরকে বকরি আদি দিলেন। আমার কথা বুঝেছেন?
ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করুন দুটি ই-মেইল আইডি
অনেক সময় জেনে শুনে তবে খুব প্রয়োজনেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইমেইল এড্রেস দিতে হয়। ওয়েব মাস্টাররা এটা বেশি লক্ষ্য করে থাকবেন। বিভিন্ন ওয়েব ডিরেক্টরিতে সাইন আপ, ফ্রি ব্যাকলিংক পেতে রেজিস্ট্রেশন নানা প্রয়োজনীয় কারণে ইমেইল দিতে হয়। আর আপনারা ভালো করেই জানেন এসব সাইটে সাইন আপ করা মানেই অপ্রয়োজনীয় মেইল আসতে শুরু করা। আর এজন্যই আপনি চাইলে এসব ব্যাপারে ব্যবহারের জন্য অন্য একটি ইমেইল ব্যবহার করতে পারেন। আর ব্যক্তিগত ইমেইলটি সব জায়গায় না দিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই ব্যবহার করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার মেইলে স্প্যাম ইমেইলের আনা গোনা এক্কেবারেই নেই।