কম দামে পাওয়া যায় বলে পুরনো হ্যান্ডসেট কেনেন অনেকে। আবার নতুন হ্যান্ডসেট পেলে পুরনোটি বিক্রি করাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ দুই ক্ষেত্রেই কিছু সাবধানতা মেনে চলা জরুরি অনলাইনের পাশাপাশি দোকানেও পুরনো সেট বিক্রি হয়। সাধারণত বিদেশে ঘুরতে গিয়ে কেনা বা প্রবাসীদের কাছ থেকে সেটগুলো কেনে এই দোকানিরা। এসব সেটের বেশির ভাগ কান্ট্রিলক (নির্ধারিত দেশে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা) থাকে। এই লক খুলে দোকানিরা তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করেন। পুরনো সেটগুলোর মধ্যে ভালো ও বৈধ সেট যেমন থাকে, তেমনি অবৈধ ও হারানো সেটও থাকে। তাই যদি পুরনো সেট কিনতেই হয় জেনে-শুনে, বুঝে কেনাই ভালো।
পুরনো স্মার্টফোন কেনার আগে বিক্রেতার কাছ থেকে আইএমইআই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে বক্সটি বুঝে নিতে হবে। আইএমইআই নম্বর হলো একটি সেটের ইউনিক বা স্বতন্ত্র আইডেন্টিটি। বক্স ও কেনার রসিদে আইএমইআই নম্বর উলেখ থাকে। *#০৬# কোড ডায়াল করেও সেটের আইএমইআই নম্বর জানা যায়। অনেক সেটের ব্যাটারি রাখার জায়গার আশপাশেও আইএমইআই নম্বর উলেখ থাকে। অনেকে ভাবেন, পুরনো সেটের বিক্রেতা বৈধ-অবৈধ যা-ই হোক, ব্যাপার না! সিম বদলালেই যে পুরনো সেটটি নিরাপদ হয়ে যাবে, এটা ভুল ধারণা। হারানো সেটের গ্রাহক চাইলে আইএমইআই নম্বর দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পুরনো সেটটি শনাক্ত করতে পারবেন। সেটের সঙ্গে যাবতীয় সরঞ্জাম ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। অনেকেই আসল চার্জার বা হেডফোন রেখে অন্যটি দিয়ে থাকেন। অনলাইন থেকে পণ্য কেনার সময় এমনটা বেশি হয়। একবার পণ্য হাতবদল হয়ে গেলে বিক্রেতার দেখা আর নাও মিলতে পারে।
কনফিগারেশন ভালো-মন্দ নির্ভর করে সেটের দাম, ব্র্যান্ড ও মডেলের ওপর। অনেক সময় ভালো ব্র্যান্ডের নামে চায়নিজ ক্লোন বা হুবহু নকল সেট বাজারে দেখা যায়। এসব সেটের সঙ্গে মূল সেটের পার্থক্য মূলত কনফিগারেশনে। তাই সেট কেনার আগে কনফিগারেশন ভালোভাবে যাচাই করে বুঝে নিতে হবে। সেট দেখতে অরিজিনাল মনে হলেও বাস্তব কনফিগারেশন মিলিয়ে নিতে হবে। সেটের সেটিংস অপশনে গিয়ে হার্ডওয়্যার কিংবা সিস্টেম ইনফোতে গেলেই কনফিগারেশন জানা যাবে। বিভিন্ন মডেলের সেটের অরিজিনাল কনফিগারেশন www.gsmarena.com সাইট থেকেও জানা যাবে। কম দামে পেয়ে তড়িঘড়ি করে সেট কিনলেই বিপদ! এমন ক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে হবে, বিক্রেতা এটি নিজে ব্যবহার করেছেন, নাকি অন্য কোথাও থেকে নিয়েছেন। হারানো সেট হলে সেট তো যাবেই, তার চেয়ে বড় বিপদেও পড়তে হতে পারে। তাই ফোন কেনার আগে দামের ব্যাপারটি খেয়াল করতে হবে। সস্তায় চোরাই স্মার্টফোন না কেনাই ভালো। পুরনো হ্যান্ডসেট কেনার সময় ওয়ারেন্টি কার্ড যাচাই করে নিন। যদি ওয়ারেন্টির মেয়াদ থাকে, তাহলে ভালো, আর না থাকলেও অন্তত বিক্রেতা বৈধ, তা ভেবে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। অবশ্য ওয়ারেন্টি না থাকলে কেনার পর মেরামত নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। আবার অনেক সময় পুরনো স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ বাজারে নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই ওয়ারেন্টি দেখে নেওয়াই ভালো। পুরনো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে পারতপক্ষে অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকে না কেনাই ভালো। চেনা-জানা কারো কাছ থেকে কিনলে সবচেয়ে ভালো হয়। অনলাইনে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি মোবাইল সেটও বেচাকেনা করা যায়। মোবাইলের ছবি, তথ্য ও দামের পাশাপাশি বৈধ বিক্রেতা প্রমাণের জন্য অনেকে সেটের বক্স ও কেনার রসিদও যুক্ত করছেন এসব সাইটে। সাইটগুলোর মধ্যে আছে- www.bikroy.com www.ekhanei.com